নীলফামারী জেলার নামের ইতিহাস ও ভৌগোলিক অবস্হান নিচে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো:
🌍নীলফামারী জেলার ইতিহাস:
অবস্থান: নীলফামারী জেলা বাংলাদেশের উত্তর অঞ্চলের রংপুর বিভাগের প্রাচীন এবং ঐতিহাসিক জেলার একটি। এই জেলার নাম ও ইতিহাস ঘিরে রয়েছে নানান তথ্য।
আয়তন: জেলার আয়তন প্রায় ১৫৮০.৮৫ বর্গকিমি:
সীমান্তবর্তী জেলা : পূর্বে লালমনিরহাট, পশ্চিমে ঠাকুরগাঁও ও ভারতের পশ্চিম বঙ্গ, উত্তরে পঞ্চগড়, দক্ষিণে দিনাজপুর ও রংপুর।
🌐নামকরণ :
নীলফামারী নামটি এসেছে "নীল" ও "ফামারী" শব্দ দুটি থেকে।
নীল = নীলচাষ
ফামারী= চাষী
ব্রিটিশ শাসনামলে (১৮৫৮-১৯৪৭) এই অঞ্চলে নীল চাষ ছিল ব্যাপক। এই নীলচাষের কারণে নীলফামারী মহকুমা হিসেবে পরিচিত ছিলো। ব্রিটিশ ও স্থানীয় জমিদাররা নীলচাষের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে। নীল উৎপাদনে অঞ্চল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নীলফামারীর উৎপত্তি।
🗣️ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট:
🔶ব্রিটিশরা এই এলাকায় বিশাল নীল খামার গড়ে তোলেন এবং চাষীদের বাধ্য করতে।
🔶নীল চাষের বিরুদ্ধে চাষীরা বিদ্রোহ ও সংগ্রাম করতো, যা নীল বিদ্রোহ-এর অংশ ছিলো।
🗣️ প্রশাসনিক ইতিহাস:
🔸এক সময় রংপুর জেলা অন্তর্ভুক্ত ছিলো নীলফামারী।
🔸১৮৭৫ সালে থানা হিসেবে আত্মাপ্রকাশ করে এবং ১ ফেব্রুয়ারী ১৯৮৪ সালে জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
🔸৬টি উপজেলা নিয়ে গঠিত হয়।
★ নীলফামারী সদর
★সৈয়দপুর
★ডোমার
★ডিমলা
★জলঢাকা
★কিশোরগন্জ ।
🎋অর্থনীতি ও পেশা :
° জেলার অধিকাংশ মানুষ কৃষিনির্ভর। ধান, পাট, ভুট্টা ও আলু প্রধান কৃষি ফসল।
° নীলফামারীর সৈয়দপুরে দেশের অন্যতম বৃহৎ রেলওয়ে কারখান আছে।
👥 জনসংখ্যা ও ধর্ম
✅মোট জনসংখ্যা (২০২২): ২০,৯২,৫৬৮ জন
✅সাক্ষরতার হার: ৬৯.২৩%
✅ধর্ম: মুসলিম ৮৪.২৭%, হিন্দু ১৫.৬৩%, অন্যান্য.....
🏢শিল্প:
উত্তরা ইপিজেড
👔ছোট ও মাঝারি তাঁত ও কারিগরি শিল্প
📚 শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
🏫নীলফামারী সরকারি কলেজ,
🏫সৈয়দপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট,
🏫সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ,
🏫সরকারি মেডিকেল কলেজ,
🏫বিভিন্ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা...।
সৈয়দপুর বিমানবন্দর
🕌 পর্যটন ও ঐতিহাসিক স্থান
🚩নীলসাগর দিঘী
🚩চিনি মসজিদ, সৈয়দপুর
🚩ডোমার রাজবাড়ি ও ধর্মপালের গড়
🚩সৈয়দপুর চার্চ (১৮৯৩)
🚩তিস্তা ব্যারেজ এলাকা
নীলসাগর দিঘী
কৃষি, সংস্কৃতি ও শিক্ষার বিকাশে সমৃদ্ধ নীলফামারী জেলা আজ রংপুর বিভাগের একটি দ্রুত উন্নয়নশীল এবং গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে গড়ে উঠেছে।
0 Comments